মানুষ একটানা কথা বলতে পারে না। তাই তাকে মাঝে মাঝে থামতে হয়। তা ছাড়া অন্যকে কথাগুলো বোঝার সময়ও দিতে হয়। লেখার বেলায়ও তেমনি মাঝে মাঝে বিরতি দিতে হয়। কথা থামাতে হয় শ্বাস নেবার জন্য। লেখা থামাতে বাক্যে ব্যবহৃত হয় নানা রকম চিহ্ন বা সংকেত। এই চিহ্ন বা সংকেতই বিরামচিহ্ন। একে যতি বা ছেদ-চিহ্নও বলা হয়ে থাকে। বিরামচিহ্ন ব্যবহারের ফলে বাক্যের অর্থ সুস্পষ্ট হয়।
লিখিত বাক্যে অর্থ সুস্পষ্টভাবে প্রকাশ করে মানুষের আবেগ, অনুভূতি ইত্যাদি ব্যক্ত করার জন্য যে চিহ্নসমূহ ব্যবহার করা হয় তাকে বিরামচিহ্ন বলে।
নিচে বাক্যে ব্যবহৃত বিভিন্ন প্রকার বিরামচিহ্নের নাম, আকৃতি নির্দেশ করা হলো :
বিরামচিহ্নের নাম | আকৃতি |
---|---|
কমা | , |
সেমিকোলন | ; |
দাঁড়ি | । |
জিজ্ঞাসাচিহ্ন | ? |
বিস্ময়চিহ্ন | ! |
কোলন | : |
কোলন ড্যাশ | :- |
ড্যাশ | - |
হাইফেন | - |
উদ্ধরণচিহ্ন / উদ্ধৃতিচিহ্ন | -- |
বন্ধনী চিহ্ন | (), {}, [] |
বিকল্প চিহ্ন | / |
ইলেক / লোপচিহ্ন / ঊর্ধ্বকমা | ' |
উল্লিখিত বিরামচিহ্নগুলোর মধ্যে কিছু চিহ্ন বক্তার মনোভাবের সমাপ্তি বোঝাতে বাক্যের শেষে বসে। কিছু চিহ্ন বক্তার মনোভাবের অর্থ সুস্পষ্টভাবে বোঝাতে বাক্যের মধ্যে বসে।
বাক্যের শেষে ব্যবহৃত বিরামচিহ্নগুলো হচ্ছে : দাঁড়ি (। ), জিজ্ঞাসাচিহ্ন ( ? ) ও বিস্ময়চিহ্ন ( ! )।
বক্তার বা লেখকের মনোভাবের সমাপ্তি বোঝাতে বাক্যের শেষে দাঁড়ি বা পূর্ণচ্ছেদ বসে। যেমন :
আমরা বাংলাদেশে বাস করি।
বক্তার মনে কোনো কিছু জানার আগ্রহ জন্মালে তা জানতে বাক্যের শেষে জিজ্ঞাসাচিহ্ন বা প্রশ্নচিহ্ন বসে। যেমন :
তোমার নাম কী?
বক্তার মনের বিভিন্ন আবেগ যেমন : আনন্দ, বেদনা, দুঃখ, ভয়, ঘৃণা ইত্যাদি প্রকাশ করতে এবং সম্বোধন পদের পরে বিস্ময়চিহ্ন বা সম্বোধনচিহ্ন বসে। যেমন :
১. আহা! কী সুন্দর দৃশ্য!
২. মাগো! তুমি কখন এলে!
বাক্যের মধ্যে ব্যবহৃত বিরাম-চিহ্নগুলো হচ্ছে : কমা (, ), সেমিকোলন ( ;), কোলন ( : ), হাইফেন (− ), ড্যাশ ( − ), ঊর্ধ্বকমা ( ' ), উদ্ধৃতিচিহ্ন ( “ ” ), বিকল্প চিহ্ন ( / )।
আরও দেখুন...